সব ধরণের পণ্যের ওপর বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে ৫০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত রাখাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. নাজমুল হাসান মাহমুদ বলেন, জিডিপিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রাখা ৭০ লাখ দোকান ব্যবসায়ীরা প্রায় ২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। আমরা ভ্যাট বিরোধী নয়। তবে ভ্যাট আদায় সহজ করে এবং ভ্যালু অ্যাডেড শতকরা হার নির্ধারণ করে তার ওপর দোকান ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ীরা সুদ বৃদ্ধির কারণে ঋণ খেলাপীতে পরিণত হওয়ার পথে। আইন অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ী ভ্যাটের আওতার বাইরে। কিন্তু এনবিআর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শপিং মলে অবস্থিত দোকান ব্যবসাকে এর আওতার বহির্ভূত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একইসাঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ৩০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাটের আওতার বাইরে রেখে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
এ সময় তিনি ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—
১. সব ধরণের পণ্যের বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে ৫০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত রেখে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শপিং মলে অবস্থিত দোকানসহ সকল দোকানের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর করতে হবে।
২. উৎপাদন বা আমদানি পর্যায়ে এমআরপি নির্ধারণ করে ভ্যাট আদায় করতে হবে। ঈদুল ফিতরের মাস বাদে অন্য যে কোনও মাসে ভ্যাট অভিযান পরিচালিত করতে হবে।
৩. ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ব্যবসায়ীদের সুদ মওকুফ করে ১ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ১৫ বছরের কিস্তিতে এককালীন ঋণ পরিশোধের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৪. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোগ্য পণ্যের দাম নির্ধারণে দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. দোকান ব্যবসাকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন
